তখনো আলোবদল হতে দেরি, ন সেকেন্ড ।
কেউ কোত্থাও সিগনাল মানছে না ।
চৌমাথার মোড় ।
কোলাহলের প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় হাত তুললে যেটুকু প্রাইভেট অঞ্চল তৈরি হয় গা ঘেঁষে
সেখানেও সেঁধিয়ে যাচ্ছে বাইক , সাইকেলের হ্যান্ডেল ।
এরকমটায় অবাক হতে নেই
কারণ প্রাইভেসির কোনও জায়গাই আর নেই ।
দেখছি পিছনের গাড়ির আলো হাঁটা পায়ের ফাঁক গলে ছিটকে পড়ছে
সামনের অন্ধকারে,
যেখানে হেডলাইটের আলো ঢেলে জায়গার দখল নিতে ব্যস্ত আরও সাতটা গাড়ি ।
“ভাই দাঁড়া , তাড়া তো আমারও !” এটুকু শেষ করতে না করতেই পা দলে দিয়ে চলে যেতে চাইছিল যে অটোরিকশা ,
তার টেকো মাথার চালককে চিনি ,
কাল খালি বসেছিল, খুব যত্ন করে ডাকছিল ,
কারণ ও জানে, যে কেউ উঠলেই বিশ টাকা।
আজ গাড়িতে বিশ টাকা বসে আছে , বা তারও বেশি – সে আজকের দেবতা।
কালকের দেবতার পা ওর কাছে আজকের বেশি কিছু নয়, চাকায় প্যাঁচ খাওয়া কালো পলিথিনেরই মতো ;
টর্চ ফেললে হয়তো জানা যাবে আরও ঘন কালো বিস্মৃতিতেও অমিল ।
যে জীবনের কঠিন যুদ্ধ আছে , গতি ব্যতিরেকে তার পৃথক পূজ্য দেবতা নেই ।
ভয়ভক্তির কোনও বন্ধক নেই- এমন মানুষ নয়, জীবন গুলোই সিগনাল মানছে না।