নতুন একটা শহরে দিন-দুপুরের থেকেও ঢের
বেশি অচেনা হয় সন্ধ্যে ।
শুনেছি সন্ধ্যের কোনও কালে কোনও বন্ধু ছিল না ;
তার বন্ধু হয়ও না কেউ ।
সে ও কি কারো? না তো !
এমনকি নিজমাতৃগর্ভজাত অন্য অহ্নেরও নয় ।
কোনও মিতালিমন্ত্র, আতিথেয়তার আনোখা রেসিপি তার জানা নেই –
এই বিষাদ ঢাকার জন্যেই হয়তো গুঁড়ো গুঁড়ো অন্ধকার
উঠে আসে চায়ের ফাঁকা কাপ থেকে ,
ব্যর্থ , পিপাসু শেষ চুমুকের টানে ।
ঘিরে ফেলে মাথা, গলা, বুক ।
ক্ষতি বা কি ! অঞ্জলি কি শুধুমাত্র ফুলেই?
লখনউ এর মুকেশ মাথুরের কণ্ঠস্বর ঠিক এসময়ে আরও বেশি
মোলায়েম , মরমী ।
এক অভিজ্ঞ সওদাগরের মতোই বহু বহুদূর থেকে
নিক্তি মেপে খানিক বেশি কান্না কিনে আনে ।
আর, সিঙ্গারা ফুরনো শালপাতার ঠোঙ্গার অন্ধকার ?
সে আঙ্গুলের ফাঁক গলে নেমে যায় নীচের দিকে ।
তলার দিক থেকে ভরে উঠে চামড়াচটা চটি থেকে কোমর অবধি ভারী হয়ে ওঠে ।
বেজায় ভারী , বাড়ি ফিরতে দেরী হয় বড়, রোজ ।
সেও এক সন্ধ্যেবেলারই কথা – মিহি গুঁড়োর, ছোট দানার যে এতো ভার ,
তা প্রথম বার জেনেছিলাম এক আত্মীয় বিয়োগের পরে ;
কাজ মিটে গেলে তিল- তিসির কৌটো উঁচু তাকে রাখতে গিয়ে ।
নির্ভারের সমাবেশে ক্রমে ভারী হয়ে ওঠা , ভারী করে তোলা –
খানিক গভীরে এও তো এক গড়ে ওঠা সম্পর্কেরই খতিয়ান ,
‘বিষাদ – যোগ’।
‘একাকীত্ব’ নিজের ধ্রুপদী সংজ্ঞাটিকেও খুইয়ে এখানেই বুঝি সার্বিক রিক্ত হয় ;
নিজে শুধু নিজের উদাহরণ হয়ে পড়ে থাকে ।
ঠাহর হয় না ভালো সে নমুনা ।
ঠিকমতো পরখের আগেই
সচেতন , অনাড়ম্বর শামিয়ানায় ঢাকা পড়ে ।